Header Ads

Header ADS

আমলকী এর গুনাগুন ও তার উপকারিতা। যা আপনার ৮ টি সমস্যা থেকে মুক্ত করবে

আমলকী
নাম: বাংলায়-আমলকী: সংস্কৃতিতে-আমলক; হিন্দীতে-আমলা।  

পরিচয়: আমলকী গাছ ভারতের প্রায় সব জায়গাতেই দেখা যায়। আমলকী ফল ছোট গোল গোল, পাতা অনেকটা তেঁতুল পাতার মত। বাংলাদেশেও প্রচুর আমলকীর গাছ দেখতে পাওয়া যায়।
গুণ: আমলকী রুক্ষ, রসায়ন, মধুর কষায় রসযুক্ত, অম্ল রসান্বিত এবং অত্যন্ত বৃষা ও শৈত্য গুণান্বিত।
আময়িক প্রয়োগ: প্রমেহ ও রক্তপিত্ত নাশক। ইহা পিত্ত, কফ ও বায়ু ইত্যাদি ত্রিদোষ নাশক। আমলকীর মজ্জা: বমি, তৃষ্ণা, ভ্রম ও দাহ নাশ করে। আমলকী বৃক্ষের ছাল ও মজ্জা সমগুণ বিশিষ্ট বলে জানবে।
মাত্রা: চূর্ণ এক হতে দুই তোলা, রস চার তোলা পরিমাণ পর্যন্ত।

 কোন কোন রোগ আরোগ্য কারক

১। শ্বেত প্রদর: পাকা আমলকীর বীজপূর্ণ, কিঞ্চিৎ মিছরিচূর্ণসহ বারবার লেহনপূর্বক সেবন করলে শ্বেত প্রদর রোগে বিশেষ সুফল পাওয়া যায়।

২। মেহ রোগ: আমলকীর কাঁচা ফল একটি করে প্রত্যহ সেবন করলে বিশেষ উপকার পাওয়া যায়।

৩। যোনিশূল: আমলকীর রস তিন তোলা, হিঞ্চে বা গাঁদা পাতার পর দুই তোলা, মিছরিচূর্ণ দুই তোলা একত্রে মিশ্রিত করে সেবন করলে বিশেষ উপকার পাওয়া যায়।

৪। চোখ উঠলে: কাঁচা আমলকী পেষণ করে রস নিষ্কাশনপূর্বক ছেঁকে মাঝে মাঝে দুই ফোঁটা করে চোখে দিলে চোখের জ্বালা যন্ত্রনার উপশম হয়।

৫। (ক) চুল উঠলে: আমলকী পেষণ পূর্বক মাথায় ফেন করে প্রত্যহ তিন ঘন্টা পর্যন্ত মাথায় ব্যবহার করলে চুল ওঠা বন্ধ হয়।
      (খ) চুলের গোড়া শক্ত করতে হলে: আমলকী পেষণ পূর্বক মাথায় লেপন করে প্রত্যহ তিন ঘন্টা পর্যন্ত তা মাথায় রাখতে হবে। এভাবে একমাস পর্যন্ত মাথায় ব্যবহার করলে চুলের গোড়া শক্ত হয়।
     (গ) অকালে চুল পাকলে: আমলকী পেষণ পূর্বক মাথায় লেপন করে প্রত্যহ তিন ঘন্টা পর্যন্ত তা মাথায় রাখতে হবে। এভাবে একমাস পর্যন্ত মাথায় ব্যবহার করলে অকালে চুল পাকে না।

৬। প্রস্রাবরোধ বা মূত্ররোধ হলে: মাটি অথবা পিতলের পানির কলসী যে স্থানে বসান হয় সে স্থানের কিছু মাটি নিয়ে আমলকীসহ উত্তমরূপে পেষণ পূর্বক নাভির চারদিকে ভালভাবে প্রলেপ দিলে প্রসাব হয়ে থাকে। কিন্তু মূত্রনালীগত শৃঙ্খলার ফলে যদি প্রস্রাব না হয়, তবে এ ভাবে প্রস্রাব করান যাবে না। কিন্তু শুধু মূত্রাশয়ের গোলযোগের ফলে যদি মূত্রকৃচ্ছতা দেখা দেয় তবে এই প্রক্রিয়ায় আমলকী প্রয়োগ করে বিশেষ সুফল পাওয়া যায়।

৭। প্রস্রাবে জ্বালা-যন্ত্রণা বোধ করলে বা মূত্রপথে দাহ সৃষ্ট হলে: চার তোলা আমলকী রস, আধা পোয়া খাঁটি কাঁচা দুধ ও কিছু মিছরিচূর্ণসহ সরবত তৈয়ার করে প্রত্যহ সকাল বেলা ঐ সরবত এক সপ্তাহ পর্যন্ত সেবন করিলে বিশেষ সুফল পাওয়া যায়।

৮। শির পীড়া অথবা মাথা ধরা: আমলকী, গোলাপ জল, শ্বেতচন্দনসহ উত্তমরূপে পেষনপূর্বক মস্তকে প্রলেপ দিলে শিরোগ বা মাথা ধরা আরোগ্য হয়।

পোস্টটি ভালো লাগলে শেয়ার করতে ভুলবেন না। আর কোনো প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট করে জানাতে পারেন এবং মেইলে নটিফিকেশন পেতে মেইল স্যাবক্রিপশন করে নিতে পারেন ।

অশ্বত্থ গাছের গুনাগুন ও তার উপকারিতা। যা আপনার ৭ টি কঠিন রোগ থেকে সমাধান দিবে।

অশ্বত্থ
 
https://bdhealthcare360.blogspot.com/2019/09/peepultree.html
 নাম: বাংলায়-আশ্বাত্থ (শুদ্ধ বাংলা- অশ্বত্থ); সংস্কৃতিতে-অশ্বত্থ; হিন্দীতে-পীপল।

পরিচয়: অশ্বরত্থ বৃক্স বটবৃক্ষের মতোই বড়, বটপাতার অগ্রভাগ গোল, অশ্বত্থর অগ্রভাগ সুচালো। এ বৃক্ষ ভারতে লোকপ্রিয় এবং পবিত্র বৃক্ষ হিসেবে পরিগণিত হয়। বাংলাদেশেও প্রচুর অশ্বত্থ বৃক্ষ দেখতে পাওয়া যায়।
ব্যবহার: ঔষধে এ বৃক্ষের ফল, পাতা, গাছের ছাল ও পাতার কুঁড় (অর্থাৎ মুকুল) ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
আময়িক প্রয়োগ: এ বৃক্ষের ফল, পাতা, ছাল ব্রণ, পিত্তদোষ
আলকুশী বীজের গুণ ও আময়িক প্রয়োগ: ইহা বায়ু নাশক।
আলকুশী মূলের মাত্রা: ক্বাথ ইত্যাদির জন্য আট আনা পরিমাণ।
আলকুশী বীজের মাত্রা: এক আনা READ MORE

No comments

Powered by Blogger.