Header Ads

Header ADS

কন্টিকারীর উপকারিতা যা আপনার ৯ টি সমস্যা থেকে সমাধান দিয়ে থাকে HealthCare360

কন্টিকারী
নাম: বাংলায়-কণ্টিকারী; সংস্কৃতিতে-কণ্টাকারী বা বৃহতী; হিন্দীতে-কটেরী।

পরিচয়: কণ্টিকারী গাছের গায়ে কাঁটা থাকে। এর ছেঅট ছেঅট ফল হয় এ ফল ফাকলে হলুদ বর্ণের হয়। পাতা বেগুন পাতার মত।

কণ্টিকারী দু’প্রকার: (ক) সাদা কণ্টিকারী (খ) সাধার কণ্টিকারী।

চেনার উপায়: সাধার কণ্টিকারীর ফুল নীল রঙের; সাদা কণ্টিকারীর ফুল সাদা রঙের। বীজের আকৃতি: কণ্টিকারী ফুলের বীজ বেগুনের বীজের মত।

কোন ঋতুতে জন্মায়? শীতকালে কণ্টিকারী গাছ প্রচুর পরিমাণে জন্মিয়ে থাকে। বর্ষাকালে এ গাছ মরে যায়। গ্রীষ্মকালে কণ্টিকারী গাছের ফর জন্মে থাকে বেনেতী মশলার দোকানে শুষ্ক কণ্টিকারী পাওয়া যায়। শুষ্ক কণ্টিকারী কিছুক্ষণ পানিসহ ভিজায়ে রাখলেই কাঁচা কণ্টিকারীর গুণবিশিষ্ট হয়। ব্যবহার: ঔষধে সচরাচর কণ্টিকারীর লতা, পাতা, ফুল, ফল, শিকড় সমস্ত কিছুই ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

মাত্রা:
(ক) কণ্টিকারী পাতার রস- ১ তোলা পরিমাণ।
(খ) কণ্টিকারী চূর্ণ-ছয় আনা পরিমাণ।
(গ) কণ্টিকারীর ক্বাথ- আট তোলা পরিমাণ।

গুণ: কণ্টিকারী লঘু তিক- কটু রসযুক্ত, রুক্ষ, পাচক, সারক, উষ্ণবীর্য সমন্বিত এবং অগ্নি-প্রদীপক। আময়িক প্রয়োগ: বণ্টিকারী কাশ, কফ, জ্বর, পীনস, বায়ু, শ্বাস, পার্শ্বশুল, কৃমি ও হুদরোগ নিবারক। কণ্টিকারী ফলের গুণ: কটু-তিক্ত রসযুক্ত।

কণ্টিকারী ফলেল সাময়িক প্রযোগ: এহা শুক্রস্রাবক, পিত্তবর্ধক, কটু, বিপাক, ভেদকক, লঘু ও অগ্নি কারক। অধিকন্তু ইহা কফ, বায়ু, কাণ্ডু, মেদ, কাম, কৃমি ও জরব নাশক।

 যে সব রোগ আরোগ্য কারক

১। বসন্ত রোগ: কণ্টিকারীর মূল বসন্ত রোগের প্রতিষেধক হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে দু’আনা পরিমাণ কণ্টিকারীর মূল ৩টি গোলমরিচসহ পেষণপূর্বক সেবন করলে ৩৬৫ দিনের মধ্যে বসন্ত রোগক্রমণের ভয় থাকে না।

২। উপদংশজনিত ক্ষত: গরমীতে ঘা পচে গেলে কণ্টিকারীর এক ইঞ্চি পরিমাণ শিকড় চূর্ণ করে প্রতিদিন ঠাণ্ডা পানিসহ সেবন করলে উপদংশজনিত ঘা বিশুষ্ক হয়ে যায়।

৩। সন্নিপাত জ্বর (টাইফয়েড) হলে: দু’আনা পরিমাণ কণ্টিকারী আধাসেরৃ পানিসহ আগুনে সিদ্ধ করে আধাপোয়া থাকতে নামায়ে নিতে হবে, তারপর তা ঠাণ্ডা হলে পরিষ্কার ন্যাকড়া দ্বারা ছেঁকে নিতে হবে। ঐ পানি প্রত্যহ একবার করে সেবন করলে সন্নিপাত জ্বর বিশেষ সুফল পাওয়া যায়।

৪। সর্দিকাশি: সর্দিকাশি হলে কণ্টিকারীর শিকড়, ফল ও ফুল বাদ দিয়ে কেবলমাত্র লতাপাতা ও ডাঁটা ছয় আনা পরিমাণ নিয়ে তাতে ১২টি গোল মরিচ, ১২টি তেজপাতা, ২টি পিঁপুল, এক ছটাক সৈন্ধব লবণ, দারুচিনি এবং দু’তোলা মিছরিচূর্ণ একত্রে মিশ্রিত করে আধাসের পানিসহ আগুনে (মাটির হাড়িতে) বসাতে হবে। তারপর ছেঁকে নিয়ে ঈষদুষ্ণ অবস্থায় রোগীকে সেবন করাতে হবে এক সপ্তাহ পর্যন্ত এরূপ সেবন করলে সর্দিকাশি আরোগ হবে। এ প্রক্রিয়াকে মিছরি- মরিচ নামে অভিহিত করা হয়।

৫। সর্দির জন্য শরীরের বেদনা অনুভূত হলে ইনফুয়েঞ্জা হলে: কণ্টিকারীর মিছরি-মরিচ প্রয়োগ করলে সুফল পাওয়া যায।

৬। পাথুরি হলে: মূত্রাশয়ের পাথুরি রোগে প্রস্রাব বন্ধ হওয়ার ফলে রোগী যখনি বিশেষ কষ্ট পায়, তখন কণ্টিকারীর মূলের ছাল দুআনা পরিমাণ নিয়ে ঘোলের সাথে পেষণপূর্বক রোগীকে প্রাতঃকালে নিয়মিত এক সপ্তাহ পর্যন্ত সেবন করালে বিশেষ সুফল পাওয়া যায়।

৭। দাঁতে পোকা লাগলে: যখন দাঁত কন কন করতে থাকে, তখন কণ্টিকারীর শুষ্ক বীজ চূর্ণ নতুন কল্কেয় ভরে, মাতাক সেবনের মত অগ্নি সংযোগ করে, ধীরে ধীরে টানলে ধোঁয়ার সৃষ্টি হয় সে ধোঁয়া দাঁতে লাগলে দাঁতের পোকা বিনষ্ট হয় ও দাঁতের কন কনানি বন্ধ হয়ে যায়।

৮। পায়ে পাঁকুই যা হাজা হলে: ৪ তোলা পরিমাণ কণ্টিকারী পাতার রস এবং এক তোলা খাঁটি সরিষার তৈলি একত্র করে এক সপ্তাহ পর্যন্ত রৌদ্রে শুকিয়ে তারপর ঐ রস হাজা বা পাঁকুইতে লাগালে তা নিবারিত হয়ে থাকে।

৯। ফোঁড়া বা বাগী হলে: ফোঁড়া বা বাগী পাকাতে বিলম্ব হলে, কণ্টিকারীর বীজ উত্তমরূপে পেষণপূর্বক তার প্রলেপ দিলে ফোঁড়া বা বাগী পেকে যায়।

কন্টিকারির পাতার রস নিষ্কাশন প্রণালী

টাটকা কণ্টিকারী পাতা হইতে বিনা পানিতেই মোটা ন্যাকড়ায় ভরে ছেঁচলেই রস বের হবে, এছাড়া শুষ্ক কণ্টিকারী পাতা পানিতে ভিজিয়ে রেখে তৎপরে রস বের করতে হবে।

পোস্টটি ভালো লাগলে শেয়ার করতে ভুলবেন না। আর কোনো প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট করে জানাতে পারেন এবং মেইলে নটিফিকেশন পেতে মেইল স্যাবক্রিপশন করে নিতে পারেন ।

কলমী শাক যা আপনার ৮ টি সমস্যা থেকে সমাধান দিয়ে থাকে। যদি জানা না থেকে তাহলে এখনই জেনেনিন
 
কলমী শাক

 নাম: বাংলায়-কলমী; সংস্কৃতিতে-কলম্বী বা শতপর্ব।

পরিচয়: কলমী শাক সচরাচর পানিতে জন্মে। নলকূপের ধারে পুকুরের পাড়ে, যে সব স্থানে পানি জমা থাকে সে সব স্থানে জন্মে। দুই প্রকারের কলমী শাক দেখতে পাওয়া যায়। এক প্রকার কলমী ডাঁটা লাল বর্ণ, অপর প্রকার কলমীর ডাঁটা সাদা সবুজাভ।

ব্যবহার: ঔষধে কলমী শাক ব্যবহৃত হয়। দু’প্রকার READ MORE

No comments

Powered by Blogger.